[এই লেখাটা আমি আগে সামহোয়্যারইন এ দিয়েছিলাম, এখনে কোরআনের সুরাটা সহ পোষ্ট করলাম]
১৯৬১ সালে সামরিক শাসক আইয়ূব খান তৎকালীন পাকিস্তানের হিন্দু ও মুসলিম পারিবারিক আইনের কিছু সংস্কার করেছিলেন। সংস্কার করেছিলেন কথাটা ভুল এই অর্থে আইন প্রণয়ন করা আর সংস্কার করা এক নয়। হিল্লা বিয়ে ও তালাক সংক্রান্ত যে আইনগুলি তখন পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী চালু করে গিয়েছিলো তা যে প্রায়োগিক অর্থে নয় তার প্রমাণ আমরা নব্বইয়ের দশকের কিছু ঘটনা থেকে অনুমান করতে পারি। আজ পর্যন্ত সেই আইনগুলির যথার্থ অনুধাবন ও পালন হয়ত সম্পূর্ণ হয়নি। খোদ পাকিস্তানে তো নয়ই, আমাদের দেশেও নয়। ৭২ সালের সংবিধানেও উপরোক্ত ব্যবস্থা বলবৎ ছিলো।
এই সপ্তাহে সরকার "জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা" শীর্ষক কিছু নীতিমালা প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে পাশ করেছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে এসেছে মুসলিম আইনে উত্তরাধিকার সম্পত্তির ক্ষেত্রে সমানাধিকার এবং বৈবাহিক সম্পর্ক সংক্রান্ত নানা নীতিমালা। আমরা অবশ্যই সরকারের এই নীতিমালাকে সাধুবাদ জানাই। কারণ ১৯৯৭ ও ২০০৪ সালে দুইবার জনপ্রিয়(popular) গনতান্ত্রিক সরকার নানা কারণে একই নীতিমালা প্রণয়নে ব্যার্থ হয়েছিলো।
View this link
এবারের পদক্ষেপে আমি ২ টা ব্যাপার সবাইকে খেয়াল করতে বলবঃ
১) ইসলামী দলগুলির প্রতিক্রিয়া
View this link দৈনিক সমকাল, ১০ই মার্চ, ২০০৮[প্রথম পাতা]
২) আমাদের বোধের জায়গা, অর্থাৎ আমরা মানে দেশের জনগনের বোধের জায়গাটার ক্ষেত্রে এই আইন প্রনয়নের ও বাস্তবায়নের যথার্থতা, কারণ স্পস্টতই এই সমানাধিকার আইন ইসলামী বিধানের পরিপন্থী।
এই সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে, আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন ছাত্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার কারণে কুন্ঠিত। তবে সাবেক সরকার প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের একটি মন্তব্য আমাকে বিস্মিত করেছে,"...জনগনকে এই সরকার সম্বন্ধে অতিরিক্ত কৌতুহল নিবৃত্তি করতে হবে..."।
আমাদের গবর্নমেন্ট নামে একটা পাঠ্য বিষয় ছিলো, ওখানে পড়া এক ধরণের বিশেষ সরকার ব্যবস্থার সাথে এই উক্তির মিল পাওয়া যায়, আপনারা একটু চেষ্টা করলেই বুঝতে পারবেন।
পিতৃ সম্পত্তির অধিকার সংক্রান্ত আল-কোরআনের সুরা নিসা
No comments:
Post a Comment